মুরাদনগরে ধর্ষণকাণ্ডে প্রধান আসামি ঢাকা থেকে গ্রেফতার

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার রামচন্দ্রপুর দক্ষিণ ইউনিয়নে ২৬ জুন রাতে ঘটে যাওয়া ধর্ষণ-ঘটনায় রাতেই চাকর উপস্থিতি জানিয়ে এলাকাবাসী অভিযুক্ত ফজর আলী (৩৮)কে আটক করা হয়। অভিযুক্তকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেযা হলে সে পালিয়ে যাওয়ার পর পুলিশ অভিযান শুরু করে। ২৯ জুন ভোরে ঢাকার সূর্যদেবী সতুরাপুর এলাকা থেকে পুলিশের বিশেষ টিম অভিযান চালিয়ে প্রধান অভিযুক্ত ফজর আলীকে গ্রেফতার করেছে ।

ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর শোরগোল সামাজিক ও ন্যায়বিচারের প্রশ্নে ঘটনার সময় তার ভিডিও ধারণ করে ছড়িয়ে দেয়া হয়। পুলিশ ইতোমধ্যে ৩ জন ভিডিও ভাইরালকারীকে গ্রেপ্তার করেছে এবং আরো একজন গ্রেফতারের প্রস্তুতি চলছে। সব মিলিয়ে মোট ৫ জন গ্রেফতার করা হয়। কুমিল্লার পুলিশ সুপার বলেন, মেয়েদের মর্যাদা রক্ষা না হলে সমাজ বিকৃতির দিকে যাবে। ভিডিও শেয়ারকারীদেরও ছাড় দেওয়া হবে না—তিনি জানান যুক্ত দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এজাহার, মামলা ও ফরেনসিক যাচাই চলছে। ভুক্তভোগী ২৭ জুন মুরাদনগর থানায় ধর্ষণের এজাহার করেন; পুলিশ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন অনুযায়ী মামলা দাখিল করেছে। এখন ডিজিটাল ফরেনসিক, মেডিক্যাল পরীক্ষা ও ভিডিও-ইউটিলাইজেশন যাচাই চলমান— সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত করতে এই ধাপগুলো গুরুত্বপূর্ণ।

ভুক্তভোগী পরিবার ও স্থানীয়দের প্রতিক্রিয়া ভুক্তভোগীর মা বলেন: আমার মেয়ের জীবনের শান্তি ভেঙে গেছে; আমরা চাই—দোষীদের বিরুদ্ধে তার জীবনেরই সঠিক হিসেব মিটিয়ে দেওয়া হোক—এই তীব্র প্রতিক্রিয়া সামাজিক ন্যায়বিচারের দাবি আরও জোরালো করেছে। মানবাধিকার কর্মীদের উদ্বেগ ও নাগরিক সমাজের দাবি স্থানীয় মানবাধিকার ও নারী নিরাপত্তার সংগঠনগুলো বলছে: ভিডিও ধারণ ও ছড়িয়ে দেয়া মানসিক নির্যাতন; দৃষ্টান্তমূলক বিচার না হলে অপরাধ প্রতিরোধ সম্ভব নয়—এই দাবি উঠে এসেছে বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনের পক্ষ থেকে। ভিডিও ভাইরাল ও ধর্ষণ—দু'টি বাস্তবে সমাজের সংকট ফুটে উঠেছে মুরাদনগরে। আজ প্রধান অভিযুক্ত আটক হওয়ায় আইনের ডাকে সাড়া, যথাযথ বিচার ও সামাজিক সচেতনতা প্রতিষ্ঠার প্রক্রিয়ায় এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হলো।

ডিসিকে/এমজেডএইচ