বুধবার, ৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ শাওয়াল ১৪৪৫  |   ২৯ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   তীব্র গরম, দেশের সকল প্রাথমিক বিদ্যালয় ২ মে পর্যন্ত বন্ধ

প্রকাশ : ২১ এপ্রিল ২০২৪, ২০:২২

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ

মেঘনা-যমুনা সেটের ফল না আসার অভিযোগ পরীক্ষার্থীদের

অনলাইন ডেস্ক
মেঘনা-যমুনা সেটের ফল না আসার অভিযোগ পরীক্ষার্থীদের

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রাজস্ব খাতে সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগের তৃতীয় ধাপের লিখিত পরীক্ষার ফল রোববার প্রকাশিত হয়েছে। তিনটি পার্বত্য জেলা ব্যতীত ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে অনুষ্ঠিত ২১টি জেলার এই নিয়োগ ফল প্রকাশ করা হয়। এতে উত্তীর্ণ হয়েছেন ২৩ হাজার ৫৭ জন। তবে ফল প্রকাশের পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিতর্ক দেখা যায়। পরীক্ষার্থীরা অভিযোগ তুলেছেন, প্রশ্নপত্রের যমুনা ও মেঘনা সেটের কেউ পরীক্ষায় পাস করেনি। এমনকি ফল পুনঃনিরীক্ষণের দাবিও তাদের। সামাজিক মাধ্যমে পরীক্ষার্থীদের একাংশ অভিযোগ করেন, তারা প্রশ্নপত্রের যমুনা ও মেঘনা সেটে পরীক্ষা দিয়েছিলেন। তাদের কারও রেজাল্ট আসেনি, কেউ পাস করেনি।

এমন কথা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনার ঝড় বইছে। সাইদুল স্যার নামে ফেসবুক আইডি একজন লেখেন প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের তৃতীয় ধাপে ট্যাকনিক্যাল সমস্যার কারনে মেঘনা ও যমুনা সেটের সবাই ফেইল। কার কার এমন হইছে? তার এমন স্ট্যাটাসে হাজারো পরীক্ষার্থী অভিযোগ করেন। নাছরিন আক্তার নামে এক পরীক্ষার্থী অভিযোগ করে বলেন, আমি যমুনা সেটে ভালো পরীক্ষা দিয়েও আমার ফলাফল আসেনি। সাকিলা চৌধুরী, সাকেরা লিপি, নিগার সুলতানা নামে অনেকেই বিষয়টি জানিয়েছেন। সাদ্দাম হোসেন নামে একজন জানান, আমার স্ত্রী মেঘনা সেটে পরীক্ষা দিয়েছে তারও রেজাল্ট আসেনি। তবে এটি নিছক গুজব নাকি সত্য তা জানা যায়নি।

এ বিষয়ে জানতে চাঁদপুর সদর উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার ফোন করলে তিনি জানান, সাধারণত এমনটি হওয়ার কথা নয়। কারণ পরীক্ষার্থী যে সেটেই পরীক্ষা দেয় না কেনো প্রশ্ন একই। এটি ভুল হওয়ার কথা নয়। এ বিষয়ে জানতে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াতকে কল করা হলে তিনি সাড়া দেননি। অধিদপ্তরের পরিচালক (পলিসি অ্যান্ড অপারেশন) মনীষ চাকমার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়। জানতে চাইলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ বলেন, তিন লাখ প্রার্থী পরীক্ষা দিয়েছে। তার মধ্যে কেউ উত্তীর্ণ না হলে এর মানে নির্দিষ্ট সেট কোডের কেউই উত্তীর্ণ হয়নি? তিনি বলেন, অধিদপ্তরের ডিজির (মহাপরিচালক) কাছে বিষয়টি নিয়ে জানতে চেয়েছিলাম। তিনি এই দুই সেট থেকে কয়েক হাজার পরীক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছে বলে জানিয়েছেন। তাহলে এসব অভিযোগ কেন আসছে? তারপরও আমরা পুনরায় যাচাই করব।

উল্লেখ্য, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার তৃতীয় ধাপের (৩টি পার্বত্য জেলা ব্যতীত ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের ২১টি জেলা) লিখিত পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। লিখিত পরীক্ষায় ২৩ হাজার ৫৭ জন উত্তীর্ণ হয়েছেন।

রোববার ২১ এপ্রিল প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে ফলাফল প্রকাশের বিষয়টি নিশ্চিত করে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে ফলাফল পাওয়া যাবে। উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীরা মুঠোফোনেও মেসেজ পাবেন। মৌখিক পরীক্ষার তারিখ পরে জানানো হবে। সহকারী শিক্ষক পদে তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে লিখিত পরীক্ষা গত ২৯ মার্চ অনুষ্ঠিত হয়। এদিন সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত আবেদনকারীদের নিজ নিজ জেলায় পরীক্ষায় অংশ নেন। এ ধাপে ৩ লাখ ৪০ হাজারের বেশি প্রার্থী পরীক্ষায় অংশ নিতে আবেদন করেছিলেন।

প্রাথমিকে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে এবারই প্রথম আবেদন ও নিয়োগ পরীক্ষা ধাপে ধাপে নেওয়া হচ্ছে। গুচ্ছভিত্তিক এ নিয়োগে তিন ধাপে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। পরীক্ষাও আলাদাভাবে নেওয়া হচ্ছে। প্রথম ধাপে গত ৮ ডিসেম্বর রংপুর, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের আওতাধীন জেলাগুলোতে লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম ধাপের এমসিকিউ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন ৯ হাজার ৩৩৭ জন।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়