মঙ্গলবার, ০৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫  |   ২৮ °সে
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য

প্রকাশ : ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০১:২৭

ফরিদগঞ্জে মহাসড়কের দু পাশে ঝোপঝাড়ে পথচারীদের দুর্ভোগ

ছিনতাই-ডাকাতির আতঙ্ক

ফরিদগঞ্জ ব্যুরো
ছিনতাই-ডাকাতির আতঙ্ক
ছবি : সড়কের দু পাশে অযত্নে বেড়ে উঠা ঝোপঝাড় ও আগাছা।

চাঁদপুর-লক্ষ্মীপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের ফরিদগঞ্জ উপজেলার সীমানা পর্যন্ত প্রায় ১৮ কিলোমিটার। দেশের পশ্চিম, দক্ষিণ অঞ্চল থেকে পূর্বাঞ্চলে যাতায়াত সহজ হওয়ায় প্রতিদিন হাজার হাজার যানবাহন এই সড়ক দিয়ে যাওয়া-আসা করে। গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কের দু পাশে অযত্নে বেড়েই চলেছে ঝোপঝাড় ও আগাছা। দিনে দুর্ভোগ পোহাতে হয় পথচারীদের, রাতের বেলা এই ঝোপঝাড় হয়ে উঠে চোর-ডাকাতের অভয়াশ্রম। বছরে কয়েকবার এই আগাছা পরিষ্কারের নিয়ম থাকলেও সড়ক ও জনপথ বিভাগ এদিকে উদাসীন।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, চাঁদপুর-লক্ষ্মীপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের ফরিদগঞ্জ উপজেলার এলাকা বাঘড়া বাজার এলাকা থেকে শুরু। ভাটিয়ালপুর চৌরাস্তা হয়ে রায়পুর বর্ডার পর্যন্ত প্রায় ১৮ কিলোমিটার। এই সড়কটি গুরুত্বপূর্ণ হওয়ায় দেশের পশ্চিম, দক্ষিণ অঞ্চল থেকে হরিণা ফেরিঘাট, চাঁদপুর হয়ে রাজধানী সহ বিভিন্ন স্থানে যাতায়াতের সহজ মাধ্যম হয়ে উঠেছে সড়কটি। এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার বিভিন্ন ধরনের যানবাহন চলাচল করে। সড়কের দুপাশে পায়ে হাঁটার অংশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও সংস্কার না করায় বনজঙ্গলে পরিণত হয়েছে। ফলে পথচারীদের মূল সড়ক দিয়ে চলাচল করতে হয়। এতে প্রায় দুর্ঘটনা ঘটছে। দ্রুত জঙ্গল ও আগাছা পরিষ্কার করে দুপাশে হাঁটার জায়গা পুনরুদ্ধার না করলে বড়ো ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে।

সরজমিনে দেখা যায়, সড়কের দু পাশে কমপক্ষে তিন ফুট থেকে সাড়ে তিন ফুট সড়ক গিলে খেয়েছে এই আগাছা। রাতে এই সড়কে কিছুদিন পর পর চুরি, ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। বছরখানেক আগে কয়েকটি ডাকাতির ঘটনাও ঘটেছে বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা

সড়কের পাশে প্রাকৃতিকভাবে বেড়ে ওঠা গাছগাছালির ঝোপ অপরাধীদের আশ্রয়স্থল হয়ে উঠেছে। এ কারণে রাতে চলাচল করা যানবাহনে যাত্রী ও মালপত্র বহনকারী চালকরা থাকেন নিরাপত্তাহীনতায়।

গৃদকালিন্দিয়া এলাকার বিল্লাল হোসেন (৫০), ধানুয়া বাজার কামরুল ইসলাম (৪০) ও আব্দুল ওয়াদুদ (৬০)সহ অনেকেই জানান, অনেক বছর ধরে এই সড়কের দিকে কোনো ধরনের নজর নেই কর্তৃপক্ষের। সংস্কার হলেও দুই পাশে মাটি সরে গিয়ে অনেক স্থানে সড়ক ভেঙ্গে যাচ্ছে। আর ওই ভেঙ্গে যাওয়া স্থান ঢেকে রেখেছে আগাছা ও ঝোপঝাড়। ফলে ওসব স্থানে পড়ে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হতে হয়েছে অনেক পথচারী ও যানবাহন চালকদের। দিনে পথচারীরা ঝুঁকি নিয়ে চলতে হয় এবং রাতে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। সড়কে লাইটিং না থাকায় নিরাপত্তাহীনতায় থাকতে হয়

ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহআলম বলেন, এই সড়কটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় রাতে একাধিক পুলিশ টিম বিভিন্ন স্থানে ডিউটি করে থাকে। সড়কের পাশে থাকা ঝোপঝাড় রয়েছে, অপসারণ করা হলে অপরাধীদের শনাক্ত করতে সহজ হবে।

চাঁদপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আলী হোসেনের বক্তব্যের জন্যে তাঁর কার্যালয় ও মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।

ফরিদগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুলতানা রাজিয়া বলেন, সড়কের পাশের আগাছা পরিষ্কার করার নিয়ম আছে। তবে বিষয়টি সড়ক ও জনপথ বিভাগের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। আমি জেলা মিটিংয়ে বিষয়টি গুরুত্বের সাথে উপস্থাপন করবো।

ডিসিকে/এমজেডএইচ

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়