চোরাই গরু জবাই করে মাংস বিক্রি

চাঁদপুরের বিভিন্ন জায়গা থেকে গরু চুরি করে হাটবাজারে বিক্রি করছে চোর চক্র। চাঁদপুর সদর উপজেলার তরপুরচন্ডী এলাকা থেকে সাদা রংয়ের একটি গরু চুরি করে নিয়ে এসে চাঁদপুর শহরের বিপণীবাগ বাজারে বিক্রি করে দিয়েও শেষ রক্ষা হয় নি চোরের।

জানা যায়, বাজারের গোশত বিক্রেতা কালা বেপারী চুরি করে আনা গরুটি সোহাগ নামে এক চোরের কাছ থেকে ক্রয় করেন। তরপুরচন্ডী এলাকার মৃত ডেঙ্গু মিজির ছেলে মতিন মিজি তার গরুটি না পেয়ে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেন। পরে তিনি বিপণীবাগ বাজারে গরুর গোশত বিক্রেতা কালা বেপারীর দোকানের সামনে এসে তার চুরি হওয়া গরুর কাটা মাথা দেখে শনাক্ত করেন। গরুটি ক্রয় করার সময় দোকান মালিক কালা বেপারী তার মুঠোফোনে চোরের টাকা গোণার ভিডিও ধারণ করে রাখেন।

চোরাই গরু বিপণীবাগ বাজারে বিক্রি হওয়ার ঘটনা ফাঁস হবার পর চোর সোহাগ গা ঢাকা দেয়। এ সময় বিপণীবাগ বাজার ইজারা নেওয়া কাইয়ুম খান চোর সোহাগকে ধরে এনে গরু বিক্রির টাকা উদ্ধার করেন। চোরাই গরু মাংসের দোকানে বিক্রির ঘটনা এলাকায় বেশ চাঞ্চলের সৃষ্টি হয় এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘটনাটি বেশ আলোচিত হয়।

অবশেষে সেই চোর সোহাগকে চাঁদপুর মডেল থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করে পৌর বিপণীবাগ বাজার ইজারাদার কাইয়ুম খান।

চোরের কাছ থেকে গরু বিক্রি টাকা উদ্ধার করে গরুর মালিকের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

গরুর মালিক মতিন মিজি জানান, তরপুরচন্ডী এলাকায় নিজ বাড়ির সামনে রাস্তার ওপর ঘাস খাওয়ার জন্যে গরুটি বেঁধে রাখা হয়। কিন্তু চোর চক্র দিনে দুপুরে গরুটি চুরি করে নিয়ে আসে। রাস্তায় গরুটি দেখতে না পাওয়ায় আনন্দবাজার, ওয়ারলেস বাজার সহ বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করার পর অবশেষে বিপিণীবাগ বাজারে এসে গরুর কাটা মাথা দেখে শনাক্ত করেন মালিক মতিন মিজি। এ সময় গরুটির ক্রেতা গোশত ব্যবসায়ী কালা বেপারী গা ঢাকা দেয়।

বিপণীবাগ বাজারের ইজারাদার কাইয়ুম খান জানান, গরুটি বাজারে বিক্রি করতে আসলে মুঠোফোনে তার টাকা গোণার ভিডিও ধারণ করা হয়। পরবর্তীতে সেই ভিডিও দেখে সোহাগকে টাকাসহ ধরে নিয়ে আসা হয়। পরে পুলিশের কাছে চোর সোহাগকে তুলে দেওয়া হয়েছে।

এদিকে এর পূর্বেও বিপণীবাগ বাজারে চোরাই গরু বিক্রির সময় বেশ কয়েকবার পুলিশ প্রশাসন হাতেনাতে চোরকে ধরেছে। চাঁদপুরে গরু চুরি বন্ধের জন্যে সঙ্ঘবদ্ধ চোর চক্রকে ধরে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থাগ্রহণ করার জোর দাবি জানান ক্ষতিগ্রস্তরা।