প্রকাশ : ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২১:৪২
হাজীগঞ্জে বড়ো ভাইয়ের আঘাতে ছোট ভাইয়ের মৃত্যুর অভিযোগ !

গাছ লাগানোকে কেন্দ্র করে বড়ো ভাই বিল্লাল হোসেন (৫০)-এর আঘাতে ছোট ভাই প্রবাসী জহির হোসেন (৪৭)-এর মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে।
|আরো খবর
নিহতের স্ত্রী জান্নাত বেগম জানান, ভাসুর বিল্লাল হোসেনের সাথে তাদের সম্পত্তিগত বিরোধ চলে আসছে। বুধবার সকাল ১১টার দিকে তার স্বামী জহির হোসেন গাছের চারা রোপণ করতে গেলে ভাসুর বিল্লাল হোসেন ও তার স্ত্রী এতে বাধা দেন। এক পর্যায়ে তাদের মাঝে ঝগড়া শুরু হয়। এ সময় একজন আরেকজনকে মারতে তেড়ে আসেন। এরই মধ্যে তিনি (জহির) নিজ ঘরে ফিরে আসেন। পরে আবারো তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখেন তার স্বামীর হাতে রক্ত। তখন তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে কর্মরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এরপর জহির হোসেনের মরদেহ বাড়িতে নিয়ে আসলে উৎসুক জনতা ওই বাড়িতে ভিড় করেন।
এই খবর পেয়ে সন্ধ্যায় হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ফারুক ওই বাড়িতে সরজমিনে তদন্তে যান।
এ বিষয়ে মারা যাওয়া জহির হোসেনের ভাতিজা মামুন বলেন, গাছ লাগানো নিয়ে দুজন (বিল্লাল ও জহির)-এর মধ্যে ঝগড়া হয়েছে। একজন আরেকজনকে গালমন্দ করে দৌড়ে গিয়েছেন। তবে তাদের মধ্যে মারামারি হয়নি। এরপর কাকা নিজ ঘরে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে আমি কাকাকে হাসপাতালে নিয়ে যাই। তখন ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তিনি আরো বলেন, জহির কাকার হাতে রক্ত দেখেছি। তবে কীভাবে হাত কেটেছে তা আমি জানি না।ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত বিল্লাল হোসেন ও তার পরিবারের সদস্যরা বাড়ি থেকে সরে পড়েন বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। এ সময় উপস্থিত লোকজন জানান, ওই সময়ে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে পরিবারের লোকজন তাকে চাঁদপুর নিয়ে গেছে। আবার কেউ কেউ বলেন, জহির হোসেনের মৃত্যুর খবর পেয়ে বিল্লাল হোসেন ও তার পরিবারের লোকজন পালিয়েছে। এদিকে অভিযুক্ত ও তার পরিবারের কাউকে ঘটনাস্থলে না পাওয়ায় তাদের বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য ছালামত উল্যাহ্ জানান, বিষয়টি আমাকে কেউ জানায়নি। লোকমুখে ও বিভিন্ন গুঞ্জন শুনতে পেয়ে মূল ঘটনা জানার জন্যে আমি ওই বাড়িতে এসেছি।
হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ফারুক বলেন, খবর পেয়ে আমি নিহতের বাড়িতে এসেছি। পরিবারের সাথে কথা বলে আইনানুগ ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।