রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১০ জিলকদ ১৪৪৫  |   ২৮ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   এসএসসি সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ

প্রকাশ : ০৮ মে ২০২৪, ০০:০০

ভর্তুকি মূল্যে সাড়ে ২১ লাখ টন সার সরবরাহ করা হয়েছে

অনলাইন ডেস্ক
ভর্তুকি মূল্যে সাড়ে ২১ লাখ টন সার সরবরাহ করা হয়েছে

জমির উর্বরতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে নন-ইউরিয়া সারের সুষম ব্যবহার নিশ্চিত করে বিএডিসির ভর্তুকি মূল্যে সাড়ে ২১ লাখ টন সার সরবরাহ করা হয়েছে বলে সংসদে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুস শহীদ।

৫ মে রোববার ভোলা-২ আসনের সংসদ সদস্য আলী আজমের লিখিত প্রশ্নের জবাবে কৃষিমন্ত্রী এ তথ্য জানান।

কৃষিমন্ত্রী জানান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রকল্প ও উদ্ধুদ্ধকরণের মাধ্যমে কৃষকরা জৈব সার ভার্মি কম্পোস্ট, হিপ কম্পোস্ট, কুইক কম্পোস্ট সার প্রস্তুত করে মাটিতে ব্যবহার করে আসছেন। এর ফলে মাটির স্বাস্থ্য সুরক্ষার পাশাপাশি ফসলের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। জমির উর্বরতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে নন-ইউরিয়া সারের সুষম ব্যবহার নিশ্চিত করে বিএডিসির ৪.৩০ লাখ টন টিএসপি, ৭.৪২ লাখ টন এমওপি এবং ৯.৭৬ লাখ টন ডিএপি সার ভর্তুকি মূল্যে সরবরাহ করা হয়েছে।

কৃষিমন্ত্রী জানান, এসআরডিআই-এর ২৪টি স্থায়ী গবেষণাগারের মাধ্যমে জমির মাটি, সার, পানি ও গাছের নমুনার রাসায়নিক বিশ্লেষণ ও সুপারিশ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। জমির উর্বরতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এসআরডিআই কর্তৃক ১০টি ভ্রাম্যমাণ মৃত্তিকা পরীক্ষাগারের মাধ্যমে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় ১১২টি উপজেলায় মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের সুষম সার ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করার লক্ষ্যে তৃণমূল পর্যায়ে অবস্থানপূর্বক কৃষকদের মাটির নমুনা পরীক্ষা করে ফসলের জন্য সার সুপারিশ করা হয়। বরেন্দ্র অঞ্চলে অম্লীয় মৃত্তিকা ব্যবস্থাপনা এবং টেকসই ফসল উৎপাদন ও মাটির উর্বরতা বৃদ্ধির জন্য প্রযুক্তি ব্যবহার নামক একটি কর্মসূচি চলমান রয়েছে। এ কর্মসূচিটি অম্লীয় মাটির ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি করে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে।

এছাড়া লবণাক্ততা ব্যবস্থাপনা ও গবেষণা কেন্দ্র, বটিয়াঘাটা, খুলনা কেন্দ্রে উপকূলীয় এলাকার লবণাক্ততা ব্যবস্থাপনা, লবণাক্ততা প্রশমন এবং ফসল উপযোগিতা বিষয়ে গবেষণা কার্যক্রম চলমান আছে। মৃত্তিকা সংরক্ষণ ও পানি বিভাজিকা কেন্দ্র, বান্দরবানের মাধ্যমে পাহাড়ে ভূমি ক্ষয় ব্যবস্থাপনা ও পানি বিভাজিকা নিয়ে গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। এ কেন্দ্রের মাধ্যমে উদ্ভাবিত প্রযুক্তিগুলোর দ্বারা পাহাড়ে ভূমি ক্ষয় রোধ করে ফসল উৎপাদন এবং মাটির উর্বরতা সংরক্ষিত হচ্ছে। সূত্র : ঢাকা পোস্ট।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়