সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১১ জিলকদ ১৪৪৫  |   ৩৩ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   এসএসসি সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ

প্রকাশ : ১১ আগস্ট ২০২৩, ০০:০০

কচুয়ায় শিশু ধর্ষণের ঘটনায় মসজিদের ইমামের যাবজ্জীবন
চৌধুরী ইয়াসিন ইকরাম ॥

কচুয়ায় জোরপূর্বক শিশু ধর্ষণের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় মোঃ বোরহান উদ্দিন (৩৫) নামে মসজিদের ইমামকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। একই সাথে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরো ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।

১০ আগস্ট বৃহস্পতিবার দুপুরে চাঁদপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক জান্নাতুল ফেরদাউস চৌধুরী এই রায় দেন। আসামীর উপস্থিতিতে রায় প্রদান করেন বিচারক।

কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামী বোরহান নিশ্চিন্তপুর এলাকার আকানিয়া গ্রামের ফকির বাড়ির মৃত তাজুল ইসলামের ছেলে। তিনি স্থানীয় শাহী মসজিদের ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করতেন। ধর্ষণের শিকার শিশু সুইটি (ছদ্ম নাম) মসজিদের ইমামের নিকট কোরআন শিখতেন।

মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, ওই শিশু প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেণী পড়া শেষ হলে পড়া বন্ধ করে দেন পিতা। এরপর তিনি মেয়েকে কোরআন শেখার জন্যে স্থানীয় মসজিদের ইমাম বোরহানের নিকট দেন। প্রতিদিন সকালে শিশু তার নিকট কোরআন শরীফ পড়তে যেতেন। ঘটনার দিন অর্থাৎ ২০২০ সালের ১৫ মার্চ রাত আনুমানিক ৯টার দিকে ইমাম শিশুর বাড়িতে ফোন করে জানান মসজিদ কমিটি মসজিদ সংস্কারের জন্যে স্থাপনা ভাঙ্গবে। তাই শিশু যেন তার কোরআন শরীফ মসজিদ থেকে নিয়ে আসে। ফোন পেয়ে ওই শিশু মসজিদে কোরআন শরীফ আনতে গেলে অভিযুক্ত ইমাম শিশুটিকে ঝাপটে ধরে বিবস্ত্র করে ধর্ষণ করেন। এরপর শিশুটি কাঁদতে কাঁদতে বাড়িতে এসে পরিবারের নিকট ঘটনার বিবরণ জানায়।

তাৎক্ষণিক ঘটনাটি শিশুর পিতা স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জানায়। তারা কোনো ধরনের সমাধান করতে না পারায় শিশুর পিতা ২১ মার্চ কচুয়া থানায় বোরহানকে আসামী করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন।

কচুয়া থানার তৎকালীন উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোঃ জাহাঙ্গীর আলমকে মামলাটি তদন্ত করার দায়িত্ব দেয়া হয়। তিনি তদন্ত শেষে একই বছরের ৩০ জুলাই আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন।

সরকার পক্ষের আইনজীবী পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডঃ সাইয়েদুল ইসলাম বাবু জানান, মামলাটি গত তিন বছরের অধিক সময় চলাবস্থায় ৫ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। সাক্ষ্য প্রমাণ ও মামলার নথিপত্র পর্যালোচনা শেষে অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় আসামীর উপস্থিতিতে বিচারক এই রায় দেন।

আসামী পক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডঃ গোলাম রাব্বানী।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়