প্রকাশ : ১১ নভেম্বর ২০২৫, ০৯:০৮
সংস্কার ও পর্যাপ্ত পরিচর্যা পেলেই মাঠটি ফিরে পাবে হারানো জৌলুস

হাজীগঞ্জ উপজেলার ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ টঙ্গীরপাড় হাটিলা ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়। বিদ্যালয়টির রয়েছে এক একরেরও বেশি সুবিশাল খেলার মাঠ। এ মাঠটির জন্যেই বিদ্যালয়টির ছিলো আলাদা সুখ্যাতি। মাঠটি ৮নং হাটিলা পূর্ব ইউনিয়নের একমাত্র বৃহৎ খেলার মাঠ।
এ মাঠটিতে চেয়ারম্যান কাপসহ বিভিন্ন ফুটবল টুর্নামেন্টের ম্যাচ অনুষ্ঠিত হতো। খেলায় দেশি-বিদেশি খেলোয়ারাও অংশগ্রহণ করতেন। এছাড়াও ক্রিকেট, হাডুডু, ব্যাডমিন্টন ও বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার সকল ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হয়।
বুধবার (৫ নভেম্বর ২০২৫) সরেজমিনে গিয়ে মাঠটির কিছু সমস্যা লক্ষ্য করা যায়। সংস্কার ও পরিচর্যার অভাবে মাঠটি খেলাধুলার জন্যে এখন অনুপযুক্ত। মাঠজুড়ে ছোট ছোট গর্ত। দীর্ঘদিন খেলাধুলা বন্ধ থাকায় মাঠের ঘাসগুলোও বেশ লম্বা। মাঠের পশ্চিম অংশে মাটি ভরাটের প্রয়োজনীয়তা প্রকট। খেলার মাঠটিকে দেখে মনে হয় গরু ছাগলের চারণভূমি।
বিদ্যালয়টিতে প্রায় দু বছর ক্রীড়া শিক্ষকের পদটি শূন্য রয়েছে। তাই কথা হয় প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন সরদারের সাথে। তিনি বলেন, ক্রীড়া শিক্ষক প্রায় দু বছর আগে মৃত্যুবরণ করেন। তাই ক্রীড়া শিক্ষকের পদটি শূন্য রয়েছে । এমন শিক্ষক এনটিআরসির কাছে চাওয়া হয়েছে। আশা করি শীঘ্রই পাবো।
তিনি আরো বলেন, বিদ্যালয়ের মাঠটি সংস্কার ও পশ্চিম অংশে ভরাট করাটা জরুরি। বড়ো কোনো টুর্নামেন্টের খেলা না হলেও বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া ও দৈনিক শরীর চর্চার সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এলাকাবাসী ও অভিভাবকের সাথে কথা বললে তারা জানান, টংগীরপাড় হাটিলা ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয় একটি ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ। এক সময় এ সুবিশাল খেলার মাঠটির জন্যেই এলাকায় পরিচিত লাভ করে বিদ্যালয়টি। মাঠটির পশ্চিম অংশ ভরাট ও পুরো মাঠটি সংস্কার করে এর হারানো জৌলুস ফিরিয়ে আনা হোক। নিয়মিত খেলাধুলা করতে পারলে শিক্ষার্থী ও এলাকার কিশোররা খারাপ নেশায় লিপ্ত হবে না। খেলাধুলা মেধা বিকাশের পাশাপাশি মোবাইল/ ইন্টারনেটের অতিরিক্ত আসক্তি থেকে তাদেরকে বিরত রাখবে।
বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী তালহা বলেন , আমাদের বিদ্যালয়ের মাঠটি অনেক বড়ো । কিন্তু খেলাধুলা করার জন্যে উপযুক্ত নয়। মাঠে ছোট ছোট গর্ত ও ঘাস থাকার কারণে খেলাধুলা তেমন হয় না। মাঠটি খেলাধুলার উপযোগী করে দিলে ভালো হতো।








