শুক্রবার, ০৬ জুন, ২০২৫  |   ৩১ °সে
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য
ব্রেকিং নিউজ
  •   ঢাকা থেকে উড্ডয়নের পরপরই তার্কিশ এয়ারলাইন্সের ইঞ্জিনে আগুন

প্রকাশ : ০৪ জুন ২০২৫, ১৪:১৪

বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতার মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি বাতিলের গুজব: সরকারের পক্ষ থেকে বিভ্রান্তির অবসান

ফারুক-ই-আজম বললেন: বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতার মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি অক্ষুণ্ন, বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে

মো. জাকির হোসেন
বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতার মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি বাতিলের গুজব: সরকারের পক্ষ থেকে বিভ্রান্তির অবসান
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালযয়ের লোগো। ছবি : সংগৃহীত

মঙ্গলবার (৩ জুন) রাতে কয়েকটি গণমাধ্যম “সরকারি অধ্যাদেশের” বরাত দিয়ে একটি খবর প্রকাশ করে, যা নিয়ে দেশজুড়ে বিভ্রান্তি ও সমালোচনার ঝড় উঠে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তাজউদ্দীন আহমদ, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, এম মনসুর আলী ও এএইচএম কামারুজ্জামান—জাতীয় চার নেতা ও বঙ্গবন্ধুর মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি বাতিল সংক্রান্ত সংবাদ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও অনলাইন প্ল্যাটফর্মে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়।

তবে বুধবার (৪ জুন) সকালে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম সংবাদমাধ্যমকে জানান, “বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতার মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি বাতিলের খবরটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।”

তিনি আরও বলেন, মুজিবনগর সরকারে যারা ছিলেন, তারা সকলেই মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে গণ্য হবেন। তবে যেসব কর্মকর্তা-কর্মচারী প্রশাসনিক দায়িত্বে ছিলেন, তারা ‘সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা’ হিসেবে বিবেচিত হবেন, তবে এতে তাদের সম্মানে কোনো ঘাটতি হচ্ছে না।

“সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা” শব্দটি কোনো মর্যাদাহানিকর অভিধা নয়, বরং মুক্তিযুদ্ধে নানা শ্রেণির অবদানের শ্রেণিবিন্যাস মাত্র।

২০২৫ সালের সংশোধিত জামুকা আইনে মুক্তিযোদ্ধার সংজ্ঞা পুনরায় স্পষ্টভাবে তুলে ধরা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ১৯৭২ সালের মূল সংজ্ঞাই পুনরায় কার্যকর করা হয়েছে। ২০১৮ ও ২০২২ সালের সংশোধনী বাতিল করে পুরনো সংজ্ঞা অনুযায়ী মুক্তিযোদ্ধা ও সহযোগীদের সম্মান এবং সুবিধা একই রাখা হয়েছে।

“জাতিগতভাবে মুক্তিযুদ্ধ না করলে আমরা স্বাধীন হতে পারতাম না। মুক্তিযুদ্ধের চেয়ে গৌরবময় ঘটনা আমাদের জাতির ইতিহাসে আর কিছু নেই।” — বলেন উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম।

এই বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. মাহফুজা আখতার বলেন, “যাঁরা রাজনৈতিকভাবে নেতৃত্ব দিয়েছেন, তাঁদের ছাড়া মুক্তিযুদ্ধ কল্পনাই করা যায় না। বঙ্গবন্ধু যদি মুক্তিযোদ্ধা না হন, তাহলে স্বাধীনতার ইতিহাসই অস্বীকার করা হয়।”

সরকার পুনরায় স্পষ্ট করেছে যে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জাতীয় চার নেতার মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি বাতিল হয়নি, ভবিষ্যতেও হবে না।

সকলকে অনুরোধ করা হয়েছে যাচাই-বাছাই ছাড়া গুজব ছড়ানো থেকে বিরত থাকতে। দেশ, ইতিহাস ও মুক্তিযুদ্ধের প্রতি সম্মান জানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় দায়িত্বশীল আচরণ করার আহ্বান জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট দপ্তর।

ডিসিকে/এমজেডএইচ

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়