প্রকাশ : ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২:০৯
এই যদি হয় মাদ্রাসা শিক্ষকের চরিত্র!

শাহরাস্তিতে দু শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে মাদ্রাসা শিক্ষককে আটক করেছে শাহরাস্তি থানা পুলিশ। বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর ২০২৫) সকাল ৮টায় উপজেলার চিতোষী সুলতানিয়া মাদ্রাসার একটি কক্ষে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ শিক্ষককে আটক করে। অভিভাবক ও থানা সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার সকালে চিতোষী পূর্ব ইউনিয়নের সুলতানিয়া ফাজিল মাদ্রাসার ৭ম শ্রেণীর দুজন ছাত্রীকে এ মাদ্রাসার ইংরেজি শিক্ষক আব্দুল মালেক কুপ্রস্তাব প্রদানসহ ভিকটিমদ্বয়ের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেয়। এতে ওই ছাত্রী চিৎকার চেঁচামেচি করার চেষ্টা করলে শিক্ষক আব্দুল মালেক ছাত্রীকে জোরপূর্বক শ্রেণী কক্ষের বেঞ্চে শুইয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে ভুক্তভোগী ধস্তাধস্তি করে অভিযুক্ত শিক্ষকের হাত থেকে আত্মরক্ষার চেষ্টা করে মাদ্রাসার অধ্যক্ষের কাছে গিয়ে বিষয়টি জানালে অধ্যক্ষ ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে ধমক দেয়। এ সময় কোনো ধরনের প্রতিকার না পেয়ে ভুক্তভোগী শাহরাস্তি থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে। এ ঘটনায় মাদ্রাসার অভিভাবক সদস্য ইব্রাহিম খলিল মঞ্জু বলেন, আমি বিষয়টি ভুক্তভোগী ছাত্রী ও তার পরিবারের কাছ থেকে জেনেছি। এ বিষয়ে অধ্যক্ষ একরামুল হক মজুমদার বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করলে এতোদূর যেতো না। এখানে অধ্যক্ষের গাফলতি রয়েছে। মাদ্রাসার অধ্যক্ষের কাছে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিককে বলেন, আপনি কোর্ট থেকে জানেন, আমি বক্তব্য দিতে পারবো না। শাহরাস্তি থানার ওসি আবুল বাসার জানান, ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষককে আটক করে রোববার (৭ ডিসেম্বর ২০২৫) সকালে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
কিছু আবাসিক মাদ্রাসায় বালক-শিশু বলাৎকারের ঘটনা সাধারণ বিষয়ে পরিণত হয়েছে। এমন ঘটনায় এখন খুব একটা আলোড়ন সৃষ্টি হয় না। কিন্তু চিতোষীর মাদ্রাসাটিতে ইংরেজি শিক্ষক কর্তৃক দুজন শিক্ষার্থী যৌন হয়রানির শিকার হবার ঘটনাটি বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। যৌন উন্মাদনায় উন্মত্ত হয়ে এ শিক্ষক যা করেছে, তাতে তাকে শিক্ষক ভাবতে অনেক কষ্ট হয়। মাদ্রাসায় জেনারেল সাবজেক্টে কোনো শিক্ষক নিয়োগ দেয়ার ক্ষেত্রে তিনি বিবাহিত ও নৈতিক চরিত্রের দৃঢ়তায় ঋদ্ধ কিনা সেটা মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ কিংবা এনটিআরসি’র জেনে নেয়াটা বাঞ্ছনীয়। এক্ষেত্রে গোয়েন্দা রিপোর্ট সংগ্রহ কিংবা বিশ্বস্ত সূত্রে আগাম তথ্য জানার বিষয়টিকে গুরুত্ব দেয়ার আবশ্যকতা রয়েছে বলে আমরা মনে করি।








