মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর, ২০২৫
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য

প্রকাশ : ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ০৯:২৩

গ্রামেও নিরাপদ পানি সরবরাহ!

অনলাইন ডেস্ক
গ্রামেও নিরাপদ পানি সরবরাহ!

‘সমগ্র দেশে নিরাপদ পানি সরবরাহে’র আওতায় রুরাল পাইপড ওয়াটার সাপ্লাই প্রকল্পটির নির্মাণ কাজ চাঁদপুর সদর উপজেলার ৫নং রামপুর ইউনিয়নের স্থানীয় বদরখোলা বাজার সংলগ্ন বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মফিজুল হক মজুমদারের দানকৃত ভূমিতে চলমান রয়েছে। এজন্যে জনমনে স্বস্তি বিরাজ করছে। প্রায় ২ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ের এই প্রকল্পটিতে ১ লাখ লিটার বিশুদ্ধ পানি ধারণ সরবরাহের ক্ষমতা থাকবে। আশপাশের তিনশ’ পরিবারের অধিক পরিবার শহরের মতো সাপ্লাইয়ের পাইপ লাইনের মাধ্যমে এই বিশুদ্ধ পানির সুবিধা ভোগ করতে পারবে। এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে চাঁদপুর জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগ। ২০২১ সালে এ ইউনিয়নের তৎকালীন চেয়ারম্যান আল মামুন পাটওয়ারীর আবেদনের প্রেক্ষিতে ২০২২ সালে প্রকল্পটি অনুমোদন হয়। ২০২৩ সালে প্রকল্পটির কাজ শুরু হয় এবং এ স্থানের মাটি ও পানির গভীরতা নির্ণয় করা হয়। পরবর্তীতে নানা জটিলতার কারণে এবং ২০২৪ সালে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের ফলে কাজটি সম্পূর্ণ বন্ধ থাকে। সকল জটিলতা কাটিয়ে বর্তমানে কাজটি পুরোদমে চলমান রয়েছে। এতে স্থানীয় এলাকার সাধারণ জনগণসহ অত্র ইউনিয়নবাসী অনেক উচ্ছ্বসিত এবং আনন্দিত। এলাকাবাসী প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়ে কাজটি সুন্দরভাবে সম্পন্ন করে জনগণের মাঝে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের প্রক্রিয়া চলমান রাখতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সদয় দৃষ্টি কামনা করছেন। অপ্রিয় হলেও সত্য এই যে, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের ঠিকাদার দ্বারা গ্রাম ও শহরের প্রকল্পগুলো সঠিক তদারকির অভাবে যথার্থভাবে শেষ হয় না কিংবা পরবর্তীতে কাক্সিক্ষতভাবে চলে না। চাঁদপুর পৌরসভার সারফেস ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট সাড়ম্বরে চালু হলেও আর্সেনিকমুক্ত পানির নিশ্চয়তা আছে হয় তো, কিন্তু পৌরবাসী নদীর ঘোলা পানির যন্ত্রণা থেকে পুরোপুরি রেহাই পাচ্ছে না। এটা কি নির্মিত অবকাঠামোর প্রকৌশলগত ত্রুটি, না পৌরসভার নির্দিষ্ট বিভাগের পরিচালনাগত ব্যর্থতা সেটা শহরবাসীর কাছে স্পষ্ট নয়। এমন বাস্তবতায় বলতে হয়, চাঁদপুর সদর উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রামে তিনশ’ পরিবারকে শহরের মতো নিরাপদ পানি সরবরাহের প্রকল্পটি সাড়ম্বরে একদিন উদ্বোধন হলেও এটি পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের পরিকল্পনা ও জনবল কি জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের হাতে আছে? নাকি গ্রামের এ রকম বিরল উন্নয়ন অনাগত ভবিষ্যতে প্রশ্নবিদ্ধ হবে কিংবা মুখ থুবড়ে পড়বে? সবকিছু ভেবেচিন্তে রামপুর ইউনিয়নের নিরাপদ পানি সরবরাহের প্রকল্পটি কার্যকরভাবে চালু হোকÑএমন শুভ কামনা থাকলো।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়