বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর, ২০২৫
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য
ব্রেকিং নিউজ
  •   ফরিদগঞ্জ যৌথ বাহিনীর ভ্রাম্যমাণ চেকপোস্ট ৯০ যানবাহনে তল্লাশি।। ১২ মামলায় ৬০ হাজার টাকা জরিমানা, ৬ গাড়ি জব্দ
  •   হরিণা থেকে দু মাদক ব্যবসায়ী আটক
  •   কয়েক কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ৩৯ জনের তথ্য চেয়েছে দুদক

প্রকাশ : ৩০ অক্টোবর ২০২৫, ০৮:৩৬

চুরিরোধে চাঁদপুর শহর পুলিশ ফাঁড়ির সহযোগিতা দরকার

অনলাইন ডেস্ক
চুরিরোধে চাঁদপুর শহর পুলিশ ফাঁড়ির সহযোগিতা দরকার

চাঁদপুর শহরে বৈদ্যুতিক তার চুরি বৃদ্ধির পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের চুরি বৃদ্ধি পেয়েছে বলে স্থানীয় গণমাধ্যমের সংবাদে প্রমাণিত হয়। গত ২৭ অক্টোবর ২০২৫ তারিখে চাঁদপুর কণ্ঠে ‘রহমতপুর কলোনীতে গ্রীল কেটে দুর্ধর্ষ চুরি : স্বর্ণ ও নগদ অর্থ লুট ॥ আতঙ্কিত এলাকাবাসী’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদে কবির হোসেন মিজি লিখেছেন, চাঁদপুর শহরের রহমতপুর আবাসিক এলাকার ‘খান কটেজ’ নামে একটি বাড়িতে দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (২৫ অক্টোবর ২০২৫) এই চুরির ঘটনা ঘটে। চোর চক্র ঘরের স্টিলের আলমারি ভেঙ্গে প্রায় ৩ ভরি স্বর্ণালংকার, নগদ ৫০ হাজার টাকা ও অন্যান্য মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে যায়। শহরের বিভিন্ন স্থানে ঘন ঘন চুরির ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে তীব্র আতঙ্ক বিরাজ করছে। ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা যায়, খান কটেজের মালিক প্রবাসী মমিন খান। ঘটনার দিন পারিবারিক কাজে তার স্ত্রী গ্রামের বাড়িতে গিয়েছিলেন। দুদিন ধরে বাসাটি খালি থাকায় চোর চক্র এই সুযোগ নেয়। শনিবার রাতে মমিন খানের স্ত্রী বাসায় ফিরে এসে ঘরের ভেতরের দৃশ্য দেখে আঁতকে উঠেন। তিনি দেখতে পান, ঘরের সমস্ত আসবাবপত্র তছনছ করা এবং স্টিলের আলমারি ভাঙ্গা। এরপরই তিনি দ্রুত চাঁদপুর মডেল থানা পুলিশকে খবর দেন। খবর পেয়ে চাঁদপুর সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রফিক মিয়াসহ পুলিশের একটি দল তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। ভুক্তভোগী পরিবার পুলিশকে জানায়, চোরেরা আলমারি ভেঙ্গে আনুমানিক ৩ ভরি স্বর্ণ ও নগদ প্রায় ৫০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।

এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দা ও সাবেক কাউন্সিলর ডি এম শাহজাহান। তিনি জানান, গত ক’দিনে এ এলাকায় অন্তত পাঁচটি দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনা ঘটেছে। ক’টি ঘটনায় মামলাও হয়েছে। এই চোর চক্রকে দ্রুত চিহ্নিত করে গ্রেফতারের মাধ্যমে চুরি রোধ করার জোর দাবি জানান তিনি।

চাঁদপুর সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রফিক মিয়া সাংবাদিকদের জানান, তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন এবং ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগের ভিত্তিতে চোর চক্রকে শনাক্ত ও মালামাল উদ্ধারের জন্য জোর তদন্ত কাজ চলছে। দ্রুতই অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হবে বলে তিনি আশ্বাস দেন। তার এমন আশ্বাসে শুধু রহমতপুর কলোনীর বাসিন্দা নয়, শহরের অন্যান্য চুরিপ্রবণ এলাকার লোকজন স্বস্তিবোধ করবেন।

চাঁদপুর শহরের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে চাঁদপুর শহর পুলিশ ফাঁড়ির অস্তিত্ব থাকা সত্ত্বেও চাঁদপুর সদর মডেল থানা পুলিশকে কেনো মাথা ঘামাতে হবে, সময় দিতে হবে, সেটা আমরা বুঝি না। অতীতে চাঁদপুর শহর পুলিশ ফাঁড়ি চাঁদপুর শহরের আইনশৃঙ্খলা সহ অনেক কিছুতেই সরব ও সক্রিয় থাকতো। যে কারণে এ ফাঁড়ির প্রধান হিসেবে কিছু পুলিশ কর্মকর্তা এ শহরের প্রবীণ ও মধ্যবয়সী নাগরিকদের মনে স্মরণীয় হযে আছেন। এখন তেমনটি নেই। যে কারণে চাঁদপুরে শহর পুলিশ ফাঁড়ি বা নতুনবাজার পুলিশ ফাঁড়ি বলে কিছুর অস্তিত্ব আছে--সেটা শহরবাসী অধিকাংশই জানেন না। এমতাবস্থায় কিছু অঘটন ঘটলেই শহরবাসী ছুটে যায় চাঁদপুর সদর মডেল থানায়। অথচ এ থানার সে কী ব্যস্ততা!

চাঁদপুর শহরের রহমতপুর কলোনী সহ কিছু ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় চুরিসহ অন্যান্য অপরাধরোধে চাঁদপুর শহর পুলিশ ফাঁড়ির পক্ষ থেকে রাতে ও দিনে বিশেষ টহল দেয়া অতীব প্রয়োজন বলে শহরের বিশিষ্টজন মনে করছেন। এ ব্যাপারে পুলিশ সুপার মহোদয়ের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন বলে সুধীজনদের অভিমত। চাঁদপুর শহরে এই ফাঁড়ির এতোটা সুপরিসর অবস্থান, যেটা দেশের অনেক পূর্ণাঙ্গ থানারও নেই। অথচ এ ফাঁড়ির কার্যক্রম এখন চোখে পড়ছে না বলেই মনে হচ্ছে। একই অবস্থা পুরাণবাজার পুলিশ ফাঁড়িরও। আমাদের মতে, চাঁদপুর শহর পুলিশ ফাঁড়িকে পুরাণ আদালত পাড়া থেকে চাঁদপুর পৌরসভার পূর্বদিকের বর্ধিত অংশে সুবিধাজনক স্থানে স্থানান্তর করা প্রয়োজন, যেখানে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের কার্যালয়সহ জেলা পর্যায়ের প্রায় সকল সরকারি অফিস ও পাবলিক ইউনিভার্সিটিসহ গুরুত্বপূর্ণ অনেক স্থাপনা আছে এবং আন্তঃজেলা যানবাহন চলাচলের স্থান বাবুরহাট বাজার, বিসিক শিল্প নগরী ও জেলখানা রয়েছে।

উল্লেখ করা দরকার যে, চাঁদপুর জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয় জেলা সৃষ্টির শুরু থেকে অনেকদিন চাঁদপুর শহর পুলিশ ফাঁড়ি সংলগ্ন ছিলো, তারপর ষোলঘরের বর্তমান অবস্থানে স্থানান্তর হয়েছে। তাহলে সময়ের চাহিদা মেটাতে ও সক্রিয়তা প্রমাণে শহর পুলিশ ফাঁড়ি শহরের পূর্বদিকে স্থানান্তর হবে না কেন?

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়