প্রকাশ : ০৯ অক্টোবর ২০২৫, ০৯:১২
মেট্রো ওয়াশিংটন ডিসির চাঁদপুর সোসাইটির বনভোজন

একটি পিকনিক বা বনভোজন উদযাপনের মাধ্যমে মানুষ প্রকৃতির সান্নিধ্যে আসে এবং বন্ধুবান্ধব ও পরিবারের সাথে সময় কাটিয়ে আনন্দ ভাগ করে নেয়। এটি একটি অনানুষ্ঠানিক উদযাপন, যেখানে বাইরের মনোরম পরিবেশে (যেমন পার্ক বা সমুদ্র সৈকতে) খাবার ও বিনোদন উপভোগ করা হয়। পিকনিকের মূল উদ্দেশ্য হলো দৈনন্দিন জীবনের ব্যস্ততা থেকে বেরিয়ে এসে প্রকৃতির সাথে সংযোগ স্থাপন করা এবং মনকে প্রফুল্ল রাখা। শনিবার (৪ অক্টোবর ২০২৫) আনন্দঘন পরিবেশের মধ্য দিয়ে একটি সফল পিকনিকের আয়োজন সম্পন্ন করেছেন মেট্রো ওয়াশিংটন ডিসির চাঁদপুর সোসাইটি । যুক্তরাষ্ট্রের ফেয়ারফেক্স কাউন্টির বারকলেক পার্কে এই পিকনিক অনুষ্ঠিত হয়।
সকাল ১১টায় সোসাইটির সেক্রেটারি তুহিন ইসলাম ও প্রেসিডেন্ট ড.আব্দুস সাত্তার সূচনা বক্তব্য দিয়ে পিকনিক শুরু করেন। বিকেল ৬ টা পর্যন্ত পিকনিকে প্রায় ছয় শতাধিক লোকজন আংশগ্রহণ করে। এদিকে আবহাওয়া ছিলো খুব সুন্দর। বনভোজনে ছিলো পুরোপুরি দেশীয় আমেজ। শুরু হয় পেঁয়াজু মুড়ি বুট দিয়ে, সাথে দুধ চা ও কফি।
প্রবাসে বনভোজনও এখন বাঙালির এক বড়ো পার্বণ। পিকনিকটি পরিণত হয়েছিলো মিলন মেলায়। এরপর ছিলো শিশুদের খেলাধুলা, জমজমাট আড্ডা, ফুটবল পেলান্টি ও বালিশ দৌড় খেলা। দুপুরে ছিলো চাঁদপুরের ইলিশ ভেজে দেওয়া, সাথে তাজা গরুর মাংস স্পটে পাক, মুরগীর রোস্ট ও ভেজিটেবল। ডেজারট ছিলো পায়েস এবং পিঠা। সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো, সকাল ১১ টায় পেঁয়াজু ভাজা শুরু হয় ও শেষ হয় বিকেল ৫ টায়। এদিকে মেট্রো ওয়াশিংটনের শিল্পী সোহেব রহমান ও জহিরের মনোমুগ্ধকর গান পরিবেশন চলে অবিরত। বিকেল ৪ টায় শুরু হয় পুরস্কার বিতরণ। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন তুহিন ইসলাম (সোসাইটির সেক্রেটারী), সাথে ছিলেন মাসুদ খান (সহ-সেক্রেটারী)। তারপর শুরু হয় র্যাফেল ড্র, যেখানে অনেকেই অংশগ্রহণ করেন। কিন্তু সৌভাগ্যবান ছয় জনকে পুরস্কৃত করা হয়। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন আবু সরকার (সোসাইটির মেম্বার)।
পিকনিকের শেষ পর্বে ধন্যবাদ বক্তব্য দেন সোসাইটির সেক্রেটারি তুহিন ইসলাম। কবির ভাই, পারভিন আপা, সাত্তার ভাই, হাওয়া, নাজ আপা, ফারুক, ইউসুফ খান, মাসুদ ভাই, ফয়সাল, হোসেন, জসিম, মানিক, আল আমিন, ফরহাদ, আবু সরকার, রিয়াজ, সোফি, আমিন ভাই, রুপম ভাই, শরীফ, লায়লা সরকার, লিজা সাত্তার সহ সোসাইটির সকল সদস্যের কঠোর পরিশ্রমের জন্যে বিশেষ ধন্যবাদ দেন। সমাপনী বক্তব্য দেন সোসাইটির প্রেসিডেন্ট ড. আব্দুস সাত্তার। তিনি সোসাইটির সকলকে, আমন্ত্রিত অতিথিকে এবং ডোনারদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
ড.আব্দুস সাত্তার : ওয়াশিংটন ডি সি, লেখক ও সাংবাদিক।