মঙ্গলবার, ১২ আগস্ট, ২০২৫  |   ৩৩ °সে
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য

প্রকাশ : ১২ আগস্ট ২০২৫, ০৯:২৮

কচুয়ার সাব্বির ১৬২ দিনে কোরআনে হাফেজ

মো. নাছির উদ্দিন
কচুয়ার সাব্বির ১৬২ দিনে কোরআনে হাফেজ
কোরআনে হাফেজ সাব্বির হোসেন।

মো. সাব্বির হোসেন (১৪)। কচুয়ার 'মাদরাসা-ই শাজুলিয়া'-এর ছাত্র। ৫ মাস ১২ দিন অর্থাৎ ১৬২ দিনে হয়েছেন কোরআনে হাফেজ। তার গ্রামের বাড়ি কচুয়া উপজেলার সেঙ্গুয়া গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের বাসিন্দা মো. আব্দুর রহমান ও তাসলিমা বেগমের কনিষ্ঠ পুত্র।

মাদরাসার পরিচালক মাওলানা আতাউল্যাহ শাজুলি জানান, সাব্বির মাদ্রাসায় ভর্তির পর থেকে পড়াশোনার প্রতি বেশ মনোযোগী ছিলো। মাত্র ১৬২ দিনে আল্লাহর অশেষ রহমতে সে পুরো কোরআন মুখস্থ করেছে। নিয়মিত সবক, ৭ সবক ও আমুখতার ধাপ নিখুঁতভাবে সম্পন্ন করেছে। শৈশব থেকেই পড়াশোনায় মনোযোগী এই শিশু দু বছরেরও কম সময়ে নূরানী, নাজেরা এবং হিফজ শেষ করেছে। প্রতিদিন গড়ে ৪-৫ পৃষ্ঠা মুখস্থ শুনিয়ে শিক্ষক ও সহপাঠীদের বিস্মিত করতো সে।

হিফজের পাশাপাশি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের প্রতিযোগিতায়ও সাব্বিরের সাফল্য নজরকাড়া। হুফফাজুল কোরআন ফাউন্ডেশন আয়োজিত জাতীয় হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় ১০ পারা গ্রুপে উপজেলা পর্যায়ে চতুর্থ স্থান এবং স্যাটেলাইট চ্যানেলের একাধিক জাতীয় প্রতিযোগিতায় ‘ইয়েস কার্ড’ অর্জন করেছে। তার এই অর্জনে পরিবার, স্থানীয় বাসিন্দা ও মাদ্রাসার শিক্ষকরা আনন্দাশ্রু ধরে রাখতে পারেননি।

তিনি আরও জানান, মাদ্রাসার পক্ষ থেকে মেধাবী এ শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা দেয়া হয়েছে। হাফেজ শিশু মো. সাব্বির হোসেন বড়ো হয়ে একজন বিশ্বজয়ী আলেম হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।

উল্লেখ্য, কচুয়ার 'শাজুলিয়া দরবার শরীফ' কর্তৃক পরিচালিত এই মাদরাসার চাঁদপুর, কুমিল্লা ও ঢাকায় মোট ৫টি শাখা রয়েছে। এখানে নূরানী, নাজেরা, হিফজ ও প্লে-অষ্টম শ্রেণীতে প্রায় ৫০০ শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করছে। প্রতি বছর গড়ে ১০-১২ জন শিক্ষার্থী পূর্ণ কোরআন হিফজ সমাপন করে পাগড়ি গ্রহণ করে। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায়ও শিক্ষার্থীরা ধারাবাহিকভাবে সাফল্যের শিখরে পৌঁছে যাচ্ছে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়