মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর, ২০২৫
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য

প্রকাশ : ১১ নভেম্বর ২০২৫, ০২:০৯

১১তম গ্রেডের নিশ্চয়তায় শিক্ষকদের কর্মসূচি প্রত্যাহার, এবার ফিরবেন ক্লাসে

স্টাফ রিপোর্টার
১১তম গ্রেডের নিশ্চয়তায় শিক্ষকদের কর্মসূচি প্রত্যাহার, এবার ফিরবেন ক্লাসে

অবশেষে বেশ কয়েকদিনের আন্দোলনের সুফল পেতে যাচ্ছেন প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকরা। যদিও তাদের দাবি ছিল বেতন কাঠামো দশম গ্রেডে উন্নীত করা। কিন্তু তারা ১১তম গ্রেডের নিশ্চয়তায় সকল কর্মসূচি প্রত্যাহার করেছেন।

সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ে সোমবার (১০ নভেম্বর ২০২৫) বৈঠক শেষে প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক ও মোহাম্মদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক খায়রুন নাহার লিপি জানান, “আমরা আজকে অর্থ সচিব এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিবের সঙ্গে দীর্ঘ সময় মিটিং করেছি। আমাদের প্রাণের দাবি দশম গ্রেড নিয়ে। এই দাবি আমাদের চলমান থাকবে। দশম গ্রেড থেকে আমরা সরবো না। কিন্তু অর্থ ও প্রাথমিক গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় বাস্তবতার নিরিখে ১১তম গ্রেড দিতে সম্মত হয়েছেন। যেহেতু প্রধান শিক্ষকরা ১০ম গ্রেড পেয়েছেন, তাই সহকারী শিক্ষকদের জন্য ১১ গ্রেডকে যুক্তিযুক্ত বলে তারা মনে করেন।”

তিনি আরও বলেন, “এ মুহূর্তে প্রাথমিক শিক্ষকদের এটিও একটি যুগান্তকারী ফসল। কারণ আমরা ১২তম গ্রেড নিয়ে উৎকণ্ঠায় ছিলাম। কিন্তু সেখানে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং অর্থ মন্ত্রণালয় লিখিত বক্তব্যের মাধ্যমে আমাদের সুনিশ্চিত করেছে যে ১১তম গ্রেড দ্রুততম সময়ের মধ্যে তারা পে কমিশনকে দেবে। এরপর দ্রুততম সময়ের মধ্যে পে-কমিশন অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠাবে। এরপর অর্থ মন্ত্রণালয় যত দ্রুত সম্ভব প্রাথমিক সহকারী শিক্ষকদের ১১তম গ্রেডে উন্নীত করবেন বলে আমাদের আশ্বস্ত করেছেন।”

লিপি বলেন, “এটা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের জন্য বড় বিজয়, আমাদের আন্দোলনের বড় ফসল। ১১তম গ্রেডের নিশ্চয়তা না পেলে আমরা কোনোভাবেই কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে সরে যেতাম না। উপস্থিত সবার মতামতের ভিত্তিতে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে, যা আমাদের কাছে প্রজ্ঞাপনসম। তাই আমরা আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে আমাদের চলমান আন্দোলন ও সকল কর্মসূচি প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যেহেতু আমাদের জন্য ১১তম গ্রেডের নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছে—আমরা এর প্রতি আস্থা রাখতে পারি। আমরা এখন শহীদ মিনারে যাবো এবং আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দেব যে আগামীকাল থেকেই আমরা শ্রেণিকক্ষে ফিরে যাব। রাষ্ট্রকে সহায়তা করাও আমাদের দায়িত্ব।”

তবে খায়রুন নাহার লিপি কর্মসূচি প্রত্যাহারের ঘোষণা দিলেও অন্যান্য নেতাদের মধ্যে তার এই সিদ্ধান্ত নিয়ে দ্বিমত দেখা যায়। অর্থ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষ থেকে বের হওয়ার সময় নেতাদের মধ্যে বাক-বিতণ্ডাও হয়।

ডিসিকে/এমজেডএইচ

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়