প্রকাশ : ১৬ মে ২০২৫, ২১:২২
চাঁদপুর শহরে রাব্বির খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল

চাঁদপুর শহরের রেলওয়ে বড় স্টেশন কয়লাঘাট এলাকায় সন্ত্রাসীদের হামলায় নিহত রাব্বি হোসেন পাটোয়ারী (২৪)-এর খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে শহরে বিক্ষোভ মিছিল করেছে রাব্বির পরিবার ও তার স্বজনরা। শুক্রবার বিকেলে (১৬ মে ২০২৫) চাঁদপুর শহরের শপথ চত্বর হয়ে মিছিলটি নিয়ে সদর মডেল থানায় এসে স্লোগান দেয় তারা। এ সময় মিছিলকারীদের থানার ওসি বাহার মিয়া রাব্বি হত্যা মামলায় আসামীদের দ্রুত গ্রেফতারের আশ্বাস দেন। ইতঃপূর্বে এই মামলায় তিন আসামিকে আটক করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত প্রধান আসামি বিপ্লব ও তার সহযোগী শাকিল, পুরাণবাজারের রাব্বি, তেল আরিফ, জুম্মান, কাদির ও সোর্স রানাসহ অন্য আসামিরা পালাতক রয়েছে।
ওসি বাহার মিয়া জানান, রাব্বি হত্যা মামলার তিনজন আসামিকে প্রথমদিনেই গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের লোকেশন নিশ্চিত করে অচিরেই তাদেরকে গ্রেফতার করা হবে। যারা রাব্বির পরিবারকে হুমকি-ধমকি দিচ্ছে তাদেরকেও আইনের আওতায় এনে ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে। কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।এ ঘটনায় নিহত রাব্বির মা জেসমিন বেগম বাদী হয়ে চাঁদপুর সদর মডেল থানায় ১১জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরো ১৫-২০ জনকে আসামি করে মামলা করেছেন।
গত মঙ্গলবার (১৩ মে ২০২৫) রাতে সন্ত্রাসীরা রাব্বিকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে বেদম মারধর করে ফেলে রাখে। ছেলেকে উদ্ধার করতে গিয়ে মা-বাবাসহ একই পরিবারের পাঁচজন সন্ত্রাসীদের হামলার শিকার হয়ে আহত হন। খবর পেয়ে চাঁদপুর মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থল কয়লাঘাট এলাকার রেলওয়ের লোকো কলোনী পানির ট্যাংকির নিচে জঙ্গল থেকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় আহত রাব্বিকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে। হাসপাতালের কর্মরত চিকিৎসক রাব্বির অবস্থা গুরুতর দেখে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে রেফার করেন। একদিন আইসিইউতে থাকার পর অবশেষে বুধবার বিকেলে রাব্বি মারা যান।
বৃহস্পতিবার (১৫ মে ২০২৫) রাব্বির মরদেহ চাঁদপুর আনার পর দাফন করা হয়। নিহত রাব্বি হোসেনের মা জেসমিন বেগম জানান, যেভাবে ছেলেকে কেড়ে নিয়ে বুক খালি করেছে, সেভাবে তাদের মায়ের বুক যেন খালি হয়। এ ঘটনায় আসামিরা ইতঃপূর্বে পালিয়েছে। তাদের পক্ষ হয়ে রাজনৈতিক দলের কিছু নেতা হুমকি-ধমকি দিচ্ছেন। তাই অচিরেই আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান প্রশাসনের কাছে।