প্রকাশ : ০২ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮:১৬
শ্রীমঙ্গলে জমি দখলে নিতে শিক্ষক পরিবারকে গৃহবন্দী করে রাখার অভিযোগ
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে জমি দখলে নিতে ১১ মাস ধরে এক শিক্ষকের পরিবারকে ঘরবন্দী করে রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
|আরো খবর
৩০ নভেম্বর ২০২৫ (রোববার) উপজেলার সাতগাঁও ইউনিয়নের আঐ গ্রামের স্কুল শিক্ষক আব্দুর রহিম (৭০)-এর পরিবার জানিয়েছেন, চলাচলের পথ না থাকায় দীর্ঘদিন ধরে বাড়িতে অবরুদ্ধ অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন। এমন বন্দিদশা থেকে মুক্তি পেতে আব্দুর রহিমের ছেলে নূরুল আফসার সাইফুল গত বৃহস্পতিবার উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলার লছনা হাইস্কুলের সাবেক প্রধান শিক্ষক আব্দুর রহিম অবসর নেয়ার পর একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি নিয়ে সপরিবারে ঢাকার গাজীপুরে বসবাস শুরু করেন। গাজীপুরে দীর্ঘসময় বসবাসের সুযোগে ভাতিজা আজাদ মিয়া (৩৫) ও অপর ভাইয়েরা মিলে আব্দুর রহিমের বসত ভিটা দখলে নিতে চেষ্টা করে। এতে ভিটার ৭০-৮০টি গাছ কেটে ও বাড়ির জায়গার অংশবিশেষ দখলে নেয়। এ নিয়ে ভাই ও ভাতিজাদের সাথে আব্দুর রহিমের জমি নিয়ে বিরোধের সৃষ্টি হয়। গত জানুয়ারি মাস থেকে আব্দুর রহিমের পরিবার বসত ভিটায় ফিরে এসে বসবাস শুরু করে। এ সময় ভাতিজা আজাদ মিয়া টিনের বেড়া ও বরই গাছের কাটা দিয়ে বাড়ি থেকে বের হওয়ার একমাত্র রাস্তাটি বন্ধ করে দেয়। এতে আব্দুর রহিম মাস্টারের পরিবারটি এক প্রকার ঘরবন্দী হয়ে পড়ে। অন্যের বাড়ির উঠোন দিয়ে চলাচল করছে। তিনি চলাচলের একমাত্র রাস্তাটি খুলে দিতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
প্রতিবেশী দুলাল মিয়া (৪০) জানান, ছোট বেলা থেকে এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করে আসছি। রাস্তাটি চালু ছিলো। কিন্তু রহিম মাস্টারের সাথে শত্রুতার জের ধরে আজাদ মিয়া রাস্তাটি বন্ধ করে দেয়। জানতে চাইলে আজাদ মিয়া বলেন, চাচা আব্দুর রহিমের সাথে জমি নিয়ে যে বিরোধ চলছে তার নিষ্পত্তি না হওয়ায় রাস্তা বন্ধ রাখা হয়েছে। যোগাযোগ করা হলে সাতগাও ইউনিয়নের সদস্য মাহমুদ আলী বলেন, ‘মাস্টার সাহেবের পরিবারের চলাচলের রাস্তাটা খুলে দেয়ার জন্যে আজাদ মিয়াকে একাধিকবার অনুরোধ করলেও সে কথা শোনেনি। এখন রাস্তা খুলে দিতে তো কারো মাথায় লাঠি মারতে পারি না’।
এ ব্যাপারে শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ইসলাম উদ্দিন বলেন, এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।







