সোমবার, ০৩ নভেম্বর, ২০২৫
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য

প্রকাশ : ০২ নভেম্বর ২০২৫, ১৮:১০

জাতীয় রক্তদান ও মরণোত্তর চক্ষুদান দিবস উদযাপন

রক্তদান ও মরণোত্তর চক্ষুদানে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করা গেলে সমাজ আলোকিত হবে

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন

মো. মিজানুর রহমান
রক্তদান ও মরণোত্তর চক্ষুদানে  মানুষকে উদ্বুদ্ধ করা গেলে সমাজ আলোকিত হবে
চাঁদপুর জেলায় জাতীয় স্বেচ্ছায় রক্তদান ও মরণোত্তর চক্ষুদান দিবস ২০২৫ পালন উপলক্ষে র‍্যালি ও আলোচনা সভা

র‍্যালি, আলোচনা সভা ও রক্তদান কর্মসূচির মাধ্যমে রোববার (২ নভেম্বর ২০২৫) জাতীয় স্বেচ্ছায় রক্তদান ও মরণোত্তর চক্ষুদান দিবস উদযাপন করা হয়েছে। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ছিলো ‘রক্তদানে হয় না ক্ষতি, চোখ ছুঁয়ে যাক চোখের জ্যোতি’।

দিবসটি উপলক্ষে জেলা প্রশাসন ও জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ, চাঁদপুর-এর আয়োজনে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় প্রাঙ্গণে একটি র‍্যালি বের হয়ে একই স্থানে শেষ হয়। এর আগে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার মুহাম্মদ আব্দুর রকিব, পিপিএম, সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ নুর আলম দীন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. এরশাদ উদ্দিন, জেলা শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ রুহুল্লাহ, জেলা পরিবার পরিকল্পনা দপ্তরের উপপরিচালক মো. একেএম আমিনুল ইসলাম, সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. রফিকুল হাসান ফয়সাল, জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নাছিমা আক্তার, জাফরাবাদ হাফিজিয়া মাদ্রাসার মোহতামিম মাও. খাজা আহমদুল্লাহ, চাঁদপুর রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির যুব রেড ক্রিসেন্ট প্রধান ওমর বিন ইউসুফসহ সংশ্লিষ্ট অংশীজন।

সভা সঞ্চালনা করেন চাঁদপুর সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ডা. মো. শাখাওয়াত হোসেন। সভাপ্রধানের বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন বলেন, বাংলাদেশে স্বেচ্ছায় রক্তদান ও মরণোত্তর চক্ষুদান আন্দোলনের পথিকৃৎ ‘সন্ধানী’। রক্তদানের পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটি মানুষের চক্ষু ব্যাংক হিসেবেও কাজ করে। অন্যান্য সংগঠনও মানবিক এই কাজটি করে আসছে। আমরা যদি মানুষকে বোঝাতে পারি তাহলে স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি বেগবান হবে। মৃত্যুর আগে স্বেচ্ছাপ্রণোদিত চক্ষুদানের বিষয়ে উৎসাহ প্রদান করতে হবে। আমার চোখ দিয়ে আরেকজন সমাজকে দেখতে পাবে-- এর চেয়ে ভালো কাজ আর কী হতে পারে। মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সব ধর্মের মানুষই পরকালের চিন্তা করে। এমন ভালো কাজের জন্যে সৃষ্টিকর্তার কাছে পুরস্কারের সুপারিশ পাবে। তাই আমি বলবো, রক্তদান এবং মরণোত্তর চক্ষুদানকে যদি বেগবান এবং উদ্বুদ্ধ করা যায়, তাহলে সেটি সমাজকে আলো দিতে পারে।

সভায় অন্য বক্তারা বলেন, রক্তদান ও মরণোত্তর চক্ষুদান মানবতার মহৎ দৃষ্টান্ত। নিয়মিত রক্তদান জীবন বাঁচায়, আর মরণোত্তর চক্ষুদান নতুন আলোর দিশা দেয় অন্ধ মানুষের জীবনে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়