কথা রাখলেন সওজের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী

বুধবার (২৫ জুন ২০২৫) দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠের শেষ পাতায় 'সওজের সড়কে হ্রদ' শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের দিনই সংস্কার করা হলো চাঁদপুর-কুমিল্লা আঞ্চলিক মহাসড়কের বাকিলা বাজার এলাকার বড়ো বড়ো গর্তগুলো। একই সাথে এ স্থানে সড়কের কাঁধে (শোল্ডার) জমে থাকা কাদা মাটির স্তূপ অপসারণ করা হয়েছে। যে কারণে চাঁদপুর কণ্ঠকে দেয়া বক্তব্যের সূত্র ধরে কথা রেখেছেন সওজের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী, (চাঁদপুর) মো. আনোয়ার হোসেন। মো. আনোয়ার হোসেন চাঁদপুর কণ্ঠকে দেয়া বক্তব্যে বলেছিলেন 'কালকেই (বুধবার, ২৫ জুন ) এটা ঠিক করে দেয়া হবে'। সত্যিকারেই এদিন (বুধবার) তিনি উক্ত অংশের সংস্কার করিয়ে দিয়েছেন।

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বুধবার সকালে কাজ শুরু করে সওজের লোকজন। কয়েক ঘন্টা ধরে করা কাজে ইট, ইটের খোয়া আর বালু ব্যবহার করা হয়েছে। এদিকে দিনে দুপুরে কাজ করার কারণে কয়েক ঘন্টা ধরে সড়কের দুপাশে যানবাহন চলাচলে ধীরগতি সৃষ্টি হয়। সড়কের এই অংশের দুপাশে সড়কের কাঁধে জমে থাকা কাদা মাটি এক্সেভেটর দিয়ে তুলে রাখা হয়েছে পাশে। ফলে এখন থেকে সড়কের এ অংশে পানি কম জমবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে কাজের মান যাই হোক, প্রাথমিকভাবে গর্তগুলো ভরাট হয়েছে, আর তাতে কিছু দিনের জন্যে হলেও সমস্যার সমাধান হয়েছে বলে যাত্রী সাধারণ মনে করছেন। তবে এ সংস্কার নিয়ে স্থানীয় জনমনে সৃষ্টি হয়েছে নানান মত।

স্থানীয়দের বলতে শোনা যায়, সড়কের এতো বড়ো বড়ো গর্ত আস্ত ইট, ইটের খোয়া ও বালু দিয়ে সংস্কার করা হয়েছে। এতে করে বৃষ্টির পানি জমার পরে ইট-খোয়ার উপর দিয়ে ভারী যানবাহন চলাচল করলে ইট ভেঙ্গে সড়কের সাথে মিশে পানিতে ধুয়ে যাবে। ফলে সড়কের এ অংশ পুরানো রূপে ফিরে আসবে।

অপরদিকে সড়কের এ অংশে শোল্ডার থেকে এক্সেভেটর দিয়ে যে কাদা মাটি সরানো হয়েছে তা বৃষ্টির পানিতে ধুয়ে একই স্থানে ফিরে আসবে। কারণ এক্সেভেটর দিয়ে উঠানো কাদা মাটিগুলো উঠিয়ে ৩/৪ ফুট দূরত্বে জমিয়ে রাখা হয়েছে।

স্থানীয়রা আরো জানান, সড়কের এ অংশ থেকে পানি নিষ্কাশনের স্থায়ী কাজ না করলে কোনো কাজই দীর্ঘস্থায়ী হবে না।

উল্লেখ্য, চাঁদপুর-কুমিল্লা আঞ্চলিক মহাসড়ক একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক এটা বলার অপেক্ষা রাখে না। সেই সড়কের বাকিলা বাজার এলাকাতে রীতিমতো মিনি হ্রদের মতো গর্ত হয়ে আছে। এই গর্তে দিনের পর দিন পানি জমে থাকার কারণে গর্তের গভীরতা বুঝতে না পারা ছোট গাড়িগুলো দুর্ঘটনার শিকার হতে দেখা গেছে। বড়ো বড়ো আর গভীর গর্তের কারণে সড়কের এ অংশে গাড়িগুলোকে এক লেনে চলাচল করতে হচ্ছে। বহুদিন ধরে এ অবস্থার সৃষ্টি হবার পরেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সংস্কার বা মেরামত বা পনি নিষ্কাশনের ন্যূনতম উদ্যোগ গ্রহণ করেনি।